ভাষা:
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত জামালপুরেও বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা প্রচলিত রয়েছে। জামালপুর সদরে উপজেলাতেই বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষের মুখে প্রচলিত ভাষা শৈলী ও উচ্চারণগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নমুনা হিসেবে জামালপুরের একটি আঞ্চলিক ভাষা উল্লেখ করা যায় : ‘‘দেরী অব ক্যা, দন্ডেই বাজার থনে ঘুইরা আমু।’’, ‘‘তুমি যাবা না আমি যামু হেইডা আগে ঠিক করইরা কবার পাও না”, ‘‘ইষ্টিরে কিছুক্ষণ বহাইয়া রাহ, বাত খাইয়া যাব।’’
লোক সংস্কৃতি :
সংস্কৃতি একটি জাতির মৌলিক পরিচয় বহন করে। এর ব্যাপকতাও বিশাল ও বিস্তৃত। সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের সর্বাঙ্গীন প্রতিভা। এর গতিও অনেকটা বহতা নদীর মত। সাহিত্যিক মোতাহার হোসেন চৌধুরীর মতে ‘‘সংস্কৃতি মানে সুন্দর ভাবে, বিচিত্র ভাবে, মহৎ ভাবে বাঁচা’’। মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করেই সংস্কৃতি গড়ে উঠে। অন্য ভাবে বলা যায় যা জীবনকে সংস্কার করে, চালিত করে অথবা যার মাধ্যমে জীবন আবর্তিত হয় তাই সংস্কৃতি। লোক সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ জামালপুর সদর উপজেলা। বাংলার নিজস্ব সংগীতে নানা ক্ষেত্রে যেমন জারি-সারি, ভাটিয়ালি, ধুয়া, বারোমাসী, দেহতত্ত্ব, আধ্যাত্মিক প্রভৃতি এলাকার মানুষ লালন করে। ইদানীং আকাশ সংস্কৃতির জোরালো ঢেউ এলাকায় বেশ পাকাপোক্তভাবে লেগেছে। উপজেলা সদরে একটি শিল্পকলা একাডেমি রয়েছে। এখানে নাচ, গান ও নাট্যচর্চা হয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী নাচ গান শেখায়। মেয়েলি গান সাধারণত বিবাহ উপলক্ষে গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে। বিয়ের সময় বর ও কনের সাথিরা প্রতিটি ঘটনার সাথে পালন করে। বর-বধুর প্রাক-বিবাহ, স্নান, বর আগমনের কনের বান্ধবীরা বিবাগ সংগীত গেয়ে থাকে। হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা-পার্বণ উপলক্ষে মেলা বসে। জামালপুর সদরে বারণী স্নান উপলক্ষে বিরাট অষ্টমী মেলা হয়। গত দশকেও সোনাভান, গাজীকালু, চম্পাবতী, ছয়ফুল মুলক, বদিউজামান পুথিঁ পাঠ করা হত। যদিও এখন এসব প্রায় বিলুপ্তির পথে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস